gravatar

Oprokashito Kobir Kobita

শিরোনাম: অন্তঃস্থেয়



শিরনামহীন


তোমাকে ভাবলেই খুব পবিত্র হতে ইচ্ছে করে আমার
ভাবি, এক ঝড়ো বৃষ্টি এসে আমায় কাকভেজা করে যাক
শত অপেক্ষার পরও বৃষ্টি আসে না
তোমার উপেক্ষায় যদি বৃষ্টি নামে, তবে
তাই নামুক-
রুদ্দ্র জলে ভিজে এই সত্তাকে পবিত্র করি
যেন তোমার সামনে এসে নতজানু হয়ে
এই আমি জানাতে পারি তোমাকে
আমার গোপন স্নায়ুর গোপন বেদনা।

বৃষ্টি তবু আজও আসেনা।
আমার গোপন ব্যাথার পরিত্যক্ত রুক্ষ বেলাভূমি
ক্রমেই পরিণত হয় দ্রুপদী মরুভূমিতে!




সাহস


‘ভালোবাসি’- এই সুক্ষ ধ্রুব শব্দটি কথনে
কতটুকু সাহসের প্রয়োজন আগে কখনো ভাবিনি কোনদিন।

সাহস যে আমার কম ছিল- তা নয়
যদি পৃথিবীর সব মানুষ এক হয়ে কখনও
সবার জন্য ভালোবাসার এক সভ্যতা গড়ত,
আমি কেবল তোমার জন্য এক বুক সাহস নিয়ে
একমাত্র চিৎকার করে বলতাম,
‘আমি মানি না তোমাদের সভ্যতা।’
আমার ধ্রুপদি উচ্চারনে মৃত্যু আমাকে বার বার
অতিক্রম করে যেত।

যদি তোমাকে ভালো না বাসতাম তবে,
‘ভালোবাসি’, ‘ভালোবাসি’ – বলে পৃথিবী গতিহীন করে দিতাম।
জীবনের সবটুকু সাহস আমি ব্যয় করেছি তোমাকে ভালোবেসে।

‘ভালোবাসি’- এই সুক্ষ ধ্রুব শব্দটি কথনে
আজ আমি তোমার সামনে সাহসশূণ্য, অসহায়।
হৃদয়ে এতো ত্রসন!




ভিক্ষা


‘তোমাকে আমি ভালোবাসি বলে
আমার অন্তস্থ সমস্ত ভালোবাসা করপুটে করে
তোমার দিকে হাত বাড়ালাম
তুমি গ্রহন করবে বলে
তুমি কি ভাবলে, আমার করপানে চেয়ে রইলে চুপচাপ
কতটা উপেক্ষা, মুখোভঙ্গি এমন
বললে “মাফ কর”
চিরদিন ভিখেরি আমি মাফ করে দিলাম।

কিন্তু ভখারির তো শুধু আজ নয়
প্রতিদিন অন্ন যোগাতে হয়।

কাল যখন আসবো আমি, একটা আধুলি কি দেবে আমায়?








অবিকল তোমার মতো ছায়াটি



আজ সন্ধায় হয়েছে কি জানো;
আমি বসে আছি ছাদের কার্নিশে
ঠিক অবিকল তোমার মতো কে যেন এসে
আমার কানে কানে বলে দিয়ে গেল
আজও তুমি ভালোবাসো?

আজো আমি ভালোবাসি।
ভালোবাসি।
এই ধ্রুপদী শব্দ টুকু কোন এক গহন হতে
বিক্ষেপ হল আমি বুঝিনি,
তুমিও বোঝনি;
ঠিক অবিকল তোমার মতো কে যেন
সেও বোঝে না।

কিছুক্ষন সে চুপচাপ ভাবে;
চেয়ে থাকে আমার দিকে
এরপর কিঞ্চিত হেসে বলে,
‘তুমি কেমন করে ভালোবাসো?’

আমি কেমন করে ভালোবাসি...।
ঠিক কি উত্তর দিলে তুমি হবে সুখি?
অবিকল তোমার মতো সেই ছায়াটি
রাতের অন্ধকারে কখন যে যায় মিলিয়ে
আমি বুঝতে পারিনি কিছুই,
আমি বোঝাতেও পারিনি কিছুই।

কাছেই কিছুটা দূরে কোন এক কাঠ ঠোকড়া পাখি
কখন যে এসে বসে তার কর্তব্য করছে জানিনা।
কোন এক দুর্বল দূর্ভাগা বৃক্ষের চুড়ার
কিছুটা নিচে কি সুনিপুন সুদক্ষ ক্ষত
একে যায় সে?

তুই বৃক্ষ শুধু তুই-ই বুঝিস
এই অহং কেমন করে ভালোবাসে
ঠিক অবিকল তোমার মতো ছায়াটিকে।







অধিকার চাই।।


সভ্যতার প্রথম থেকেই পৃথিবীতে চলছে
সাধিকার আন্দোলন। আজও প্রতিনিয়ত
চলছে অধিকারের সংগ্রাম। চাই শিশু অধিকার,
নারী অধিকার চাই।
অধিকার না পেলে স্থল ভাগ ছেয়ে যাবে লাভায়
বঙ্গপোসাগর হবে এন্টারটিকা।
তুমি নিশ্চই জানো একবার অধিকারের জন্যই
৫২-এ রক্তাক্ত হয়েছিল রাজপথ,
অধিকার নিয়েই একদিন জন্মেছিল বাংলাদেশ।
অধিকার পেয়ে কখনো সমুদ্রের বুকে জেগেছে দ্বীপ
কখনো বা অরণ্যে সৃষ্টি হয়েছে নির্ঝর;
তবু এসব দেখে কিছু ভাবান্তর হয় না তোমার?

আকাশের বুকে অধিকার হারিয়ে মেঘ বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পড়ে
আমাকে তোমার বুকে অধিকার না দিলে আমিও বৃষ্টি হবো।







ENCYCLIC

ভালোবাসা রদ্দুরে খেলা করে,
ছায়ায় আমার বাস;
তাই ভালোবাসার সাথে কখনো দেখা হয় নি আমার,
ভালোবাসার মর্মোদ্ধার হয় নি কখনো।

আজ তোমার জন্য এ হৃদয় হয়
নীল দরিয়া,
তুমি যদি কখনো কোনদিন এ দরিয়ায় স্নান করো
তবে জেনে রেখো,
ভালোবাসা ত্রিদিব হতে নেমে আসবে ছায়ায়- আমার বুকে,
এই নিঃসংগ নরকে।





অর্থহীন আর্তনাদ


আমি নাকি অমানিশি, একটা জোনাকীও নাই,
আসমান যেন কাকের চোখ, পাহাড়ি জঙ্গলে
প্যাঁচা ডাকে খালি,- বলেছে সে।
বলেছে এখানে সে ঘর বাঁধবে না – মরে গেলেও।
এখানে সে ভুল করে এসেছিল, চলে যাবে
নির্ভুল ভাবে।
পাগলের মতো ভালোবাসি যারে
সে আমারে বলেছে এসব কথা।
চলমান...